শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:১১ অপরাহ্ন

কালিয়াকৈরে বৈশাখী মেলা উপলক্ষে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎ শিল্পীরা

কালিয়াকৈর প্রতিনিধি::

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় বৈশাখী মেলা উপলক্ষে মৃৎ শিল্পীরা দিন রাত কাজ করে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাহারী মাটির তৈরী খেলনা হাতি, ঘোড়াসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করেছেন। তবে তাদের সময় উপযোগী প্রশিক্ষনের অভাবে এক সময় হারিয়ে যাবে এ সব মৃৎ শিল্প।

মৃৎশিল্প পরিবারের সূত্রে জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার বেনুপুর, সিন্দুরী, কালিয়াকৈর পালপাড়া, বোয়ালী, বলিয়াদী, উল্টাপাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষের জীবন জীবিকা করার জন্য তৈরি করছেন মাটির তৈরি বাহারী রকমের জিনিস পত্র। আবহমানকাল থেকে গ্রাম গঞ্জে বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এসব মেলার প্রান হচ্ছে মাটির তৈরী হাতি-ঘোরা, পুতুলসহ বাহারী তৈজসপত্র। শিশুদের কাছে এ সব খেলনার জুরি নেই। তাই পহেলা বৈশাখ কে কেন্দ্র করে কালিয়াকৈরে ব্যস্ত সময় পার করছে মৃৎ শিল্পীরা। তৈরি করছেন খেলনা হাতি, ঘোড়া, টিয়া, পেঁচা, ময়না, ফুলের টবসহ বিভিন্ন প্রকারের জিনিসপত্র।এসব তৈরিতে তারা ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন মৃৎ শিল্পীরা। তবে মেলা ছাড়া এইসব মালে তেমন চাহিদা থাকে না। তাই যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে মৃৎশিল্প। মৃৎ শিল্পী নিরাঞ্জন পাল জানান, বৈশাখী মেলা আসায় আমাদের কাজ বেড়ে গেছে রাত দিন সমানে কাজ করতে হচ্ছে। পাইকাররা অনেক মালের অর্ডার দিয়েছে তাই বৈশাখী মেলার জিনিস পত্র তৈরি করছি।

মৃৎ শিল্পী রনজিদ পাল জানান, আমাদের মৃৎ শিল্পের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে পুরাতন ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারবো। আর যদি সরকার আর্থিক সহযোগীতা দেন তাহলে ব্যাপক আকারে কাজ করতে পারবো। এ শিল্পকে বাঁচাতে হলে স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ প্রদান না করিলে বিলীন হয়ে যাবে মৃৎ শিল্প।

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, অতি শীগ্রই যুব উন্নয়নের উদ্যোগে সবাইকে সু-সংগঠিত করে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রশিক্ষন শেষে তাদের স্বল্প সুদে ঋন প্রদান করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com